আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধির উপায় এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো
তাকওয়া ও আমল: আল্লাহ সকল কথাকে জানেন এবং আমলের সাথে তাকওয়া সম্পন্ন করেন। সুন্নাত মুতাবিক আমল করা, নামাজ পড়া, কোরআন পড়া এবং সদকা দেওয়া সহ বিভিন্ন আমল করে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
দুআ করা: আল্লাহর প্রতি হৃদয়ে ভালোবাসা বৃদ্ধি করার জন্য প্রার্থনা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর কাছে দুআ করে হাজির হতে হলে নিম্নলিখিত দুআটি পড়া উচিত:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ حُبَّكَ، وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ، وَالْعَمَلَ الَّذِي يُبَلِّغُنِي حُبَّكَ، اللَّهُمَّ اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ نَفْسِي وَأَهْلِي وَمِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ
(অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমার প্রতি ভালোবাসা, তোমার প্রেমকে ভালোবাসা এবং তোমার
বান্দার প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা
মহান রাব্বুল আলামিন এক ও অদ্বিতীয় এবং একক সত্তা তার ওপর আর কোন মাবুদ নেই তিনি আমাদের একমাত্র পালনকর্তা বিধানদাতা দোজাহানের মালিক সর্বশ্রেষ্ঠ মালিক আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা অসীম।
এবং তিনি সকল কিছুর উর্ধে যিনি একমাত্র আমাদের মালিক এবং যার ক্ষমতা জাহানের সর্বশ্রেষ্ঠ মাত্র 6 দিনেই দুনিয়া সৃষ্টি করতে পারেন এ থেকে কি বোঝা যায় না তার ক্ষমতা কতটা অপরিসীম ।
ইশারা ছাড়া গাছের একটি পাতাও নড়ে না সেই তো আমাদের মালিক মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা আল্লাহর গুণাবলী এবং তার রহমত বরকত বলে শেষ করা যাবে না ।
তিনি অসীম দয়ালু অতুলনীয় আল্লাহ তাআলা সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন তার বিভিন্ন কারণে তার কারণ তার পিছনে অবশ্যই কোন কারণ আছে।
কারণ আল্লাহ তাআলা তার মানবজাতির সৃষ্টি করেছেন ।আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মশগুল থাকার জন্য তাকে বিশ্বাস করার জন্য ভালোবাসার জন্য দুনিয়াতে তার গুণাবলী তার বাণী প্রচার করার জন্য নবী-রাসূলগনকে ।
আল্লাহতালা দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তার বাণী প্রচার করার জন্য ইসলাম প্রচার করার জন্য ঈমান ঠিক রাখার জন্য আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে সকল কিছু প্রচার করার জন্য বিভিন্নভাবে তা প্রকাশ করার জন্য ।
আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায়
আল্লাহ তাআলা নবী-রাসূলগণ পাঠিয়েছেন মানবজাতিকে এরপর মানবজাতিকে পাঠিয়েছেন। দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলার সকল কিছুর গুণাবলী প্রকাশ করার জন্য আর এটা আমাদেরকে আমরা বান্দা তা বিশ্বাস করতে বাধ্য।
এবং তা বিশ্বাস করা ফরয কেননা আল্লাহ তা’আলা বারবার করে বলেছেন তোমাদের সকল কিছুর উর্ধে একমাত্র মালিক এবং খোদা সৃষ্টি আমি নিজে সকল কিছুই তৈরি করেছি এবং তা পিছনে কারণ অবশ্যই থাকে তা ।
তোমাদের মনে ও প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে যারা তা অস্বীকার করবে তারা কাফের যারা কখনো আল্লাহর ভালোবাসা এবং আল্লাহর বিশেষ অর্জন করতে পারবে না যাদের এক কথায় জাহান্নামে যেতে হবে।
যারা আল্লাহকে ভালবাসতে পারবে চিনতে পারবে আল্লাহকে বোঝার চেষ্টা করবে দুনিয়াতে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর গুণাবলী অর্জন করতে পারবে এবং।
আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকতে পারবে তারাই একমাত্র আল্লাহ তা’আলার বান্দা এবং আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য এবং তারাই একমাত্র আল্লাহর হেদায়েত প্রাপ্ত হিসেবে পরিচিত থাকবে ।
আল্লাহ তাআলা তার হেদায়েত প্রাপ্ত বান্দাদেরকে খুব বেশি পরিমাণ ভালোবাসেন তার প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধির জন্য আমাদের বেশি বেশি আল্লাহকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে নবী-রাসূলগনকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
আল্লাহ তাআলার বাণী বেশি বেশি পড়তে হবে রাতে মশগুল থাকতে হবে আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি কে বিশ্বাস করতে হবে তার রহমত বরকত তার কোরআন সকল কিছু বিশ্বাস করতে হবে এবং।
তা প্রচারের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম তৈরি করতে হবে এবং বেশি বেশি ইসলাম প্রচারের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করতে হবে বেশি বেশি স্থাপনের মাধ্যমে নিজেদের গুনাহ করার চেষ্টা করতে হবে কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
বেশি বেশি তার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে পরিচিত হওয়ার জন্য আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য বেশি বেশি আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করতে হবে।
তার কাছাকাছি যেতে হবে আল্লাহকে বোঝার জন্য জানার জন্য সারাক্ষণ সর্বদা আল্লাহ তায়ালার বিধির বিধান বুঝার চেষ্টা করতে হবে আল্লাহকে চেনার চেষ্টা করতে হবে তাকে ভালবাসার মশগুল থাকতে হবে।
এর থেকে বড় উপায় আর কিছুই হতে পারে না এর থেকে ভাল মাধ্যম আর কিছু হতে পারে না আল্লাহর কাছাকাছি যাওয়ার তাকে বোঝার এবং চেনার তাই মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করতে হবে ।
যাতে আমরা বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদতে নিজেদেরকে তার কাছে নিয়ে যেতে পারে এবং একজন মুসলিম হিসেবে আমরা যেন সর্বদা আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দা হিসেবে কাল কেয়ামতের মাঠে চিহ্নিত হতে পারি ।
এবং আমরা বুঝতে পারি আমরা যেন মহান রাব্বুল আলামিনের হতে পারি মহান রাব্বুল আলামিনের সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দা হিসেবে তাই বেশি বেশি করে আল্লাহর কাছাকাছি যেতে হবে।
তার প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করতে হবে এগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা সর্বদা বৃদ্ধি করার করতে পারব।
পরিশেষে
আমরা মুসলমান একজন অমুসলিমর কাছে এর চাইতে বড় দুর্ভাগ্য আর কিছুই নেই। কেননা তারা যদি মুসলিম হত আল্লাহ তাআলার নিয়ামত রহমত বরকত সম্পর্কে যদি জানত তার যদি আল্লাহকে চেনার চেষ্টা করতে তাহলে।
এই দুনিয়াটা আরো সুন্দর হতো কোন ইসলাম নিয়ে রাহাজানি হতো না কোন ভেদাভেদ থাকত না ধর্ম ধর্মে কোন ভেদাভেদ থাকবে না সকলের সুন্দর ভাবে শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করত।
ইসলাম নির্বাচিত ধর্মের কিছু নিয়মাবলী পালন করত ইসলামিক ভাবে জীবনযাপন করতো হায় আফসোস তাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে তা আমরা জানিনা তাহলে কি আমরা এটিকে শুকরিয়া আদায় করি না।
যারা আমরা মুসলিম হিসেবে দুনিয়াতে এসেছে আল্লাহতালা আমাদের পাঠিয়েছেন তাই মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আমাদের শুকরিয়া শেষ নেই সকল কিছুর উর্ধে এটাই প্রমাণিত হয়।
মহান রাব্বুল আলামিন তার গুণাবলী এবং সৃষ্টির আল্লাহ তা’আলা একমাত্র সম্ভব করা তাই মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে সকল কিছুর সৃষ্টির ।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো রেখেছে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার রহমত বরকত গুণাবলী তার সন্তুষ্টি সকল কিছু মহান আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে ।
আপনারা কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন আল্লাহ তাআলার ক্ষমতা ও গুণাবলী সম্পর্কে যদি প্রশ্ন করি আপনাদের উপকারে আসে অনেক ভালো লাগবে আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে সবাই ভাল থাকবেন ।
আসসালামু আলাইকুম।