বান্দার প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা

এই পৃথিবীতে ভালোবাসা সকলের মাঝে বিরাজ করে ভালোবাসা এমন একটি জিনিস যা প্রকাশ করা যায় না বোঝানোও যায় না শুধু অনুভব করা যায়।

অনুভব এর মাধ্যমে আমরা একে অপরের প্রতি অনেকটা বেশি ভালোবাসায় মগ্ন থাকি এবং ভালোবাসা একেক রকম সম্পর্কের ভালোবাসা ভিন্ন হয় যেমন পারস্পরিক ভালোবাসার মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ করা যায় ।

যে কোন সম্পর্ক ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ যেমন পরিবারের সাথে ভালোবাসা সন্তানের সাথে পিতা-মাতার ভালোবাসা পিতামাতার সাথে সন্তানের ভালোবাসা ভাই বোনের ভালোবাসা বন্ধুদের ভালোবাসা।

এবং স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে ভালোবাসা ভালোবাসা এক রকমের সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভালোবাসা অত্যন্ত সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস না থাকলে হয়তো বা কারও কারও প্রতি মহব্বত হত না ।

অন্তরা থাকত না যেমন আল্লাহ তায়ালার প্রতি বান্দার ভালোবাসা এবং বান্দার প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা সম্পূর্ণ অন্য রকমের এই ভালবাসার মত পৃথিবীর আর কোথাও ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া যাবে না।

যা সর্বোত্তম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আল্লাহতালার 100 ভাগের 1 ভাগই আল্লাহ তাআলা বান্দাদের মধ্যে ভালোবাসা দিয়েছেন বাকি 99 ভাগ আল্লাহ তাআলার নিজের কাছে রেখেছেন তাহলে কি বুঝা যায় না যে ।

আল্লাহ তা’আলা কত দয়াময় পরম দয়ালু তিনি কতটা দয়াবান এবং কতটা দয়ালু এর মাধ্যমে বুঝা যায় আমরা যারা গুনাহ কত খারাপ কাজ করে হানাহানি লিপ্ত থাকে বিভিন্ন ধরনের গুনাহ লিপ্ত থাকে।

আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের ভালোবাসেন সুযোগ দেন এবং বারবার তিনি তাদের মাফ করেন এবং তাদেরকে নিজের কাছে আঁকড়ে ধরেন তারপর আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ভালোবাসেন ।

এত গুনাহ করার পরও তাহলে কি বুঝা যায়না আল্লাহ তা’আলা কত দয়ালু দয়াবান মাত্র একভাগ আমাদের মধ্যে ভালোবাসা দিয়েছেন তার জন্যই আমরা একে অপরের প্রতি কতটা মহাব্বতে থাকি ভালোবাসা এ লিপ্ত থাকে ।

যা বলে বুঝাতে পারিনা এবং এক ভাগের কারণে আমরা এতটা পরিমাণ মানুষের প্রতি দুর্বল ভালোবাসা লিপ্ত থাকে তাহলে কি বুঝা যায়না আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের কত ভালোবাসেন কেননা 99 ভাগই তো তার মাঝে।

এর জন্যই আল্লাহ তাআলা পরম দয়ালু এবং একমাত্র খোদা একক এবং একত্ববাদ খোদা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে এরপরেও বারবার সুযোগ দেন এবং ।

কিভাবে বুঝবেন আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসে

যারা আল্লাহ তায়ালার খুব বেশি পছন্দের বান্দা তাদেরকে আল্লাহ তা’আলা পরীক্ষার জন্য।দুনিয়াতে কষ্ট দেন অনেক জ্বালা যন্ত্রণা দেন কেননা আল্লাহ তাআলা তার ধৈর্য পরীক্ষা করেন ।

সে কতটা পরীক্ষায় সফল হতে পারে তা আল্লাহ দেখেন। কেননা আল্লাহ তাআলা দুনিয়ায় তার ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে আখিরাতে তার ফলাফল স্বরূপ জান্নাত প্রদান করেন আর তারাই আল্লাহ তাআলার একমাত্র শ্রেষ্ঠতম বান্দা ।

এবং হেদায়েত প্রাপ্ত হেদায়েত প্রাপ্ত বান্দারা আল্লাহ তায়ালার প্রতি আনুগত্য প্রকাশের সর্বদা।

সচেষ্ট থাকে এবং সবসময় আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করেন সারাক্ষণ সব সময় আল্লাহ তায়ালার ডাকে সাড়া দেন এবং ইবাদতে লিপ্ত থাকেন।

আল্লাহ্ তায়ালা খুব বেশি ভালো না বাসলে তার বান্দাদের হেদায়েত প্রাপ্ত করেন না খুব বেশি ভালোবাসেন বিধায় আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজের মধ্যে হানাহানি রাহাজানি খুনাখুনির ।

আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাকে সুযোগ দেন এবং তার ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য আহবান করেন তাঁর পথে ফিরে আসার জন্য আহবান করেন তাকে ভালবাসেন এবং তাকে বাঁচার জন্য ভালো ভাবে থাকার জন্য ।

আল্লাহ তাআলা বারবার তার প্রতি দয়াবান হন এবং তার হেদায়েত প্রাপ্তদের জন্য আল্লাহ তাআলা নানা ধরনের উপায় বের করে দেন এতে কি বুঝা যায়না আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের প্রতি কতটা দয়াবান এবং দয়ালু ।

আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে দুনিয়াতে তার এবাদত এর থাকার জন্য পাঠিয়েছেন পরীক্ষাস্বরূপ আল্লাহ তাআলা তার ফলাফল আখেরাতে দেবেন কেয়ামতের দেবেন তাই।

আমাদের উচিত আল্লাহর ইবাদতে সবসময় মশগুল থাকা তার নিয়মাবলী পালনকর্তা আদেশ নিষেধ বিধি-নিষেধ পালন করা এবং আল্লাহ তা’আলা প্রতি সন্তুষ্ট লাভের জন্য বেশী বেশী তওবা কর ।

ইবাদতে মশগুল থাকা আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের যে পরিমাণ ভালোবাসেন তার কোন ভালোবাসার সাথে তুলনা করা যাবে না কেননা আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ তাআলা তার বান্দাকে কখনো ছেড়ে যায়না ।

আর আল্লাহ তা’আলা যেরকম সেরকম করো দয়াবান ঠিক তেমনটাই কঠোর আল্লাহতাআলা তার বান্দার গুনাহ এর পরিমাণ বেশি দেখেন খুব বেশি পরিমান রাগ হয় তার উপর আযাব নাযিল করেন।

এবং পরক্ষণেই তাকে বুঝিয়ে দেন যে আল্লাহ তায়ালার উপরে আর কেউ নেই তাই বারবার আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন উপায় এর মাধ্যমে তাঁর বান্দাকে আল্লাহর পথে ফিরে আসার জন্য আহবান করেন ।

এবং বিভিন্ন ভাবে মুজিযা প্রদান করেন আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ করতে হবে তাকে ভালবাসতে হবে তাকে বিশ্বাস করতে হবে অন্তর দিয়ে তার মনেপ্রাণে আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করতে হবে ।

আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের খুব বেশি পরিমাণ ভালোবাসেন আল্লাহতালা ভালোবাসার পেয়েছেন যারা আল্লাহকে ভালবাসতে পেরেছেন তারা চিনতে পেরেছেন এক মাত্র আল্লাহ তাআলাকে ।

আল্লাহ এক অদ্বিতীয় আর কেউ নেই আসবেও না তাই তাকে বেশি বেশি ভালবাসতে হবে যাতে আল্লাহ তা’আলা আরো বেশি তার বান্দাকে তার কাছে টেনে নিতে পারেন ভালবাসতে পারেন এবং হেদায়েত প্রাপ্ত করতে পারেন।

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের 10 টি উপায়

আল্লাহ তা’আলাকে ভালোবাসার জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে তার মধ্যে 10 টি উপায় উল্লেখ করা হলো:

  1. আল কুরান তাফসির সহ অর্থ বুঝে শুনে পড়া ।
  2. ফরজ ইবাদতের সাথে সাথে নফল ইবাদাত আদায় করা ।
  3. খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদেরকে সর্বদা ভালো কাজে নিয়োজিত রাখা।
  4. সুসম্পর্ক গড়ে তোলা ভালো সঙ্গ সাথে থাকা যারা আল্লাহ তা’আলার সাথে নিজেকে আবদ্ধ রাখে ইসলামিক ভাবে জীবন যাপন করে এমনদের সাথে বন্ধুত্ব করা।
  5. নবী-রাসূলগণের পথ অবলম্বন করা নবী-রাসূলগণের সুন্নত পালন করা তাদের সকল বাণী সোনা ।
  6. আল্লাহ তাআলার বাণী এবং আল্লাহ তালার আদেশ-নিষেধ বিধি-বিধান মেনে চলা।এবং দুনিয়ার মোহ থেকে বেরিয়ে আসা বেশি বেশি জান্নাতের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য ভালোভাবে নিজেকে তৈরি করা আল্লাহ তা’আলার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা ।
  7. আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি এবং আল্লাহ তাআলার সকল কিছু বিশ্বাস করা অন্তর দিয়ে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা।
  8. হালাল ভাবে উপার্জন করা হারাম থেকে দূরে থাকা এবং বেশী বেশী ইস্তেগফার করা ।
  9. আল্লাহ তায়ালাকে বেশি বেশি স্মরণ করা এবং তওবা করা।
  10. বেশি রাতের ইবাদত করা এবং ঈমানদারদের সাথে সময় কাটানো ।এবং বিভিন্ন হাদিস ও বানীঃ লিপিবদ্ধ নেওয়া বেশি বেশি করে দোয়া দরুদ পাঠ করা ।এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করা মৃত্যুর কথা স্মরণ করা গুনাহ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখা ।পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সর্বদা নিজেদেরকে সকল কাজে সকল ভালো কাজে নিয়োজিত রাখা ।এবং সর্বদা ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন করা।

পরিশেষে

পরিশেষে এই কথাই বলা যায় যে আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় এবং একমাত্র সৃষ্টিকর্তা পালনকর্তা এবং তিনি সকল কিছুর উর্ধে তার সাথে অন্য কারো শরিক হয় না ।

যারা আল্লাহ তা’আলার সাথে অন্য কাউকে শরীক করে তারা হচ্ছিল কাফের আর আল্লাহ তাআলার গুণাবলী আমরা সকলেই বারবার প্রমাণ পেয়েছি তার ক্ষমতা এবং কতটা মহান সেটাও আমরা প্রমান পেয়েছি ।

এবং বারবার আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকি কেননা তিনি আমাদের এত সুন্দর একটি জীবন দান করেছেন এত সুন্দর একটি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন সেখানে আমাদেরকে পাঠিয়েছেন।

সেখানে সকল কিছুর ভোগ করার সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন নিজেদের খাওয়া থেকে শুরু করে পড়া বাসস্থান সবকিছু আল্লাহতালার নিয়ামত রহমতের মাধ্যমে আমাদেরকে দান করছেন।

আমরা বেঁচে আছি শুধুমাত্র তার শুকরিয়া তার রহমতের কারণে তার জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আমরা লাখ শুকরিয়া কেননা তিনিই যদি আমাদেরকে সৃষ্টি না করতেন ।

আমরা যদি দুনিয়াতে না আসতাম তাহলে আমরা আল্লাহতালার এত সুন্দর সৃষ্টি চোখে দেখতে পারতাম না এত সুন্দর সৃষ্টি উপভোগ করতে পারতাম না এত সুন্দর সৃষ্টি ভালো না বেসে থাকতে পারতাম না ।

যে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে সবচাইতে বেশি শুকরিয়া আদায় করি যে আমরা মুসলিম হিসাবে যারা মুসলমান মুসলিম হিসেবে পৃথিবীতে আসতে পেরেছি পাঠিয়েছেন কত ভাগ্যবান আমরা 

Leave a Comment