আসসালামু আলাইকুম সবাইকে আজকে আমরা আলোচনা করব একটি নারীর পর্দা ফরজ এবং তা কতটা জরুরী অর্থাৎ বেপর্দা নারী কতটা অভিশাপ স্বরূপ
দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য আজকে আমরা আলোচনা করব বেপর্দা নারীর কবরের আজাব পর্দা নারী নিয়ে উক্তি এবং একটি নারীর কারণে কয়জন জাহান্নামে যাবে তা নিয়ে ।
আজকে আমরা পুরো বিষয়টির উপর আলোচনা করব বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন মেয়ের ক্ষেত্রে এবং সমানভাবে একজন ছেলের পর্দা করা ফরজ ।
কেননা পর্দা উভয়ের জন্যই আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করেছে আর চোখের হেফাজত করা আমাদের সকল মুমিন বান্দাদের জন্য ফরজ।
কেননা এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আজকের বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণভাবে বিস্তারিত আলোচনা করবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বেপর্দা নারী নিয়ে উক্তি
আল্লাহতালা আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তার এবাদত এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর সুন্নত পালন করার জন্য কেননা এই দুনিয়া আমাদের জন্য চিরস্থায়ী নয় এবং আমরা কেউ চিরস্থায়ী নয়।
সকলকেই একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে এবং সকলকেই একদিন মহান রাব্বুল আলামীনের সামনে দিয়ারে যেতে হবে তার মুখাপেক্ষী হতে হবে।
এবং সকল কিছুর হিসাব নিকাশ করা হবে জবাবদিহি করতে হবে সকলকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে আজ না হয় কাল করতেই হবে
এটা আল্লাহ থেকেই নির্ধারিত এর থেকে বাঁচতে পারবে না ঠিক সময়ে আল্লাহ তাআলা জান কবজ করবেন এর থেকে বাঁচতে পারবে না।
কেউ তাই আমাদের উচিত দুনিয়াতে থাকাকালীন আল্লাহ তার সকল তার সকল নিয়ম কানুন এবং আমরা আমাদের জীবনে যেভাবে সাজিয়েছি বা সাযাচ্ছি তা
আল্লাহ তায়ালার নিয়ম অনুযায়ী করা ।ইসলামিক ভাবে করা এবং নবীর সুন্নাত হিসেবে করা তাই আমাদের সকলকে আল্লাহতালা নিয়মাবলী পালন করতে হবে।
সর্বপ্রথম উক্তি হলো পর্দা একজন নারী ও পুরুষ দুজনের জন্যই আল্লাহ তাআলা পর্দা ফরজ করেছেন। বিশেষত নারীদেরকে বেশি পর্দার আড়ালে থাকতে বলেছেন
কেননা নারী হলো স্বচ্ছ কাঁচের পাত্রের মতো এবং নমনীয় ও কোমল এবং আল্লাহ তালার খুব পছন্দের সৃষ্টি হলো নারী
তিনি নারীদের কে পুরুষের চোখ আড়াল হতে বলেছেন এবং সকল গুনাহ থেকে নিজেদেরকে হেফাজতের রাখতে বলেছেন আমাদের উচিত আল্লাহ তাআলার গুণাবলী তার সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলা নবীর সুন্নাহ মেনে চলা।
তাই সর্বপ্রথম আমরা সকলে এবং বিশেষত নারীরা সঠিকভাবে আল্লাহতালার ইসলামিক নিয়মকানুন মেনে চলবো ।
এবং নিজেদেরকে পর্দার আড়ালে হেফাজতের রাখবো নিজেদের গুনাহ কমানোর চেষ্টা করব কেননা একটি নারীর কারণে 4 জন ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে শুধুমাত্র তার বেপর্দার কারণে
তাই আমাদের উচিত নিজেদেরকে সঠিকভাবে পর্দার আড়ালে লুকিয়ে রাখা এবং আল্লাহ তায়ালার নিয়মকানুন মেনে চলা।
আল্লাহ তাআলা নারীদেরকে বলেছেন তোমরা তোমাদের এবং তোমাদের দেহ এমনভাবে বেগানা পুরুষ থেকে নিজেদেরকে আড়াল করে রাখবে যাতে
বেপর্দা নারী পছন্দ করিনা
এক অংশ শরীরের কোন অংশ পুরুষের চোখে না পড়ে। কেননা একটি খারাপ দৃষ্টি এবং খারাপ আচরণ দুইজনের জন্যই বেপর্দার কারণ।
প্রথমত নারী তার বেপর্দার কারণে পুরুষ খারাপ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকায় তাই উভয়ই সমান দোষী এবং তাদের দুজনেরই জেনা হবে।
কেননা আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন নারী হচ্ছে অনেক সুন্দর নরম কমলি সৃষ্টি পুরুষের আকর্ষণ এবং দৃষ্টি আকর্ষণ করবে ।
তাই আমাদের উচিত আল্লাহ তাআলার সকল বিধি-বিধান ও নিয়মকানুন মেনে চলা নিজেদেরকে এতটা পর্দার ভিতর রাখা যাতে
আল্লাহ তায়ালার সামনে আমরা সুন্দরভাবে সাক্ষাৎ করতে পারি নির্দ্বিধায় এবং জান্নাতের পথে অগ্রসর হতে পারি ।
তাই আমাদের উচিত নিজেদের কে এমন ভাবে পর্দার আড়ালে রাখা যাতে পুরুষের চোখের হেফাজত হয় এবং আমরাও আমাদের পর্দা সঠিকভাবে পালন করতে পারি।
পর্দা কত প্রকার ও কি কি
ইসলামে পর্দা তিন ভাবে করতে বলা হয়েছে যা ফরজ তা হল
- গৃহে অবস্থা কালীন পর্দা
- বাইরে গমনকালীন পর্দা
- এবং বৃদ্ধাবস্থায় পর্দা
ইসলাম যেভাবে নারীদের পর্দা পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং এর বিধি-বিধান
ইসলাম নারীদেরকে সঠিক ও সুন্দরভাবে পর্দা পালনের কথা বলা হয়েছে এবং এর বিধি-বিধান গুলো সুন্দর ভাবে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে
ইসলামে পর্দা তিনভাবে করতে হবে এবং যা ফরজ প্রথমত গৃহস্থালি গৃহে অবস্থানকালীন বাইরে গমন করেন এবং বৃদ্ধ অবস্থায় ।
এই তিন ভাবে পর্দা ইসলামে করতে বলা হয়েছে যা প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ফরজ বিশেষত নারী নারীরা যেন সঠিক ভাবে ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী পর্দা করতে পারে
তার জন্য আল্লাহ তাআলা সকল রকমের বিধি বিধান দিয়েছেন এবং উল্লেখ করে দিয়েছেন জোরপূর্বক করে বলে দিয়েছেন।
যে নারীরা যেন সঠিক ও সুন্দরভাবে পর্দা করে এবং সুন্নাহ অনুযায়ী পর্দার সকল নিয়ম কানুন এবং তা তাদের কর্মজীবনে এবং দুনিয়ার জীবনে সঠিকভাবে পালন করে ইসলামে বলা হয়েছে নারীরা যখন গৃহে অবস্থানকালীন থাকবে।
তখন সে তার কিছু আপনজন মানুষের সামনে পর্দা না করলেও চলবে বাকি সবার সামনে সঠিকভাবে পালন করবে এবং তারা যেন সঠিক ভাবে পালন করতে পারে সে জন্য আল্লাহ তাআলা ইসলামে তিন ভাবেই তার বিধি-বিধান দিয়ে বলে দিয়েছেন।
যে এজন্য তারা সঠিক ও সুন্দরভাবে পর্দা করে আমি আরয করেছি গৃহ অবস্থানকালীন এভাবে সঠিকভাবে করতে পারে এবং নিজেকে সম্পূর্ণভাবে পর্দার আড়ালে রাখতে পারেন কোন বেগানা পুরুষ বা কিছুতেই তার পর্দা নষ্ট না হয় ।এবং
narir porda somporke hadis
দ্বিতীয়ত আল্লাহ তাআলা বলেছেন বাহিরে গমন কালীন পর্দা আল্লাহ তাআলা বলেছেন নারী যখন বাহিরে গমনঃ করবেন তখ সে যেন সঠিক ভাবে আমার দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী
এবং সকল নিয়ম কানুন অনুযায়ী সুন্নাহ অনুযায়ী পর্দা করে সকল বেগানা পুরুষ থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখে।
এবং তার পরিচিত মানুষ ছাড়া যেন তার প্রতি আকর্ষিত না হয় সেভাবে তাকে নিজেকে হেফাজতে রাখতে হবে পর্দার আড়ালে এবং নিজের পর্দা নিজের খেয়াল রাখতে হবে।
সেটা সে যেকোনো জায়গায় যাক না কেন তার পর্দা তাকে খেয়াল রাখতে হবে।সে যেন সঠিকভাবে বাহিরে গমন কালীন পর্দা পালন করে ।
তৃতীয়তঃ বৃদ্ধাবস্থায় পর্দা বৃদ্ধা নারীদের জন্য আল্লাহ তাআলা পর্দাটি করার জন্য। পর্দা করার জন্য কিছু নিয়ম বলেছেন যা তার তেমন গুনাহ হবে হবে না কেননা বৃদ্ধা নারীদের জন্য আল্লাহ তাআলা পর্দা একটি শিথিলতার মাধ্যমে প্রদান করেছেন।
সে যদি তার সৌন্দর্য বেগানা পুরুষের সামনে প্রকাশ না করে তার শরীরের কোন অংশ বিবাহের উপযুক্ত না বুঝা যায় তাতে কোন সমস্যা নেই ।আল্লাহ তা’আলা তাদের জন্য পর্দার নিয়ম কানুন তেমনটি করেননি গুনাহ করেননি ।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন তারা শুধু তাদের দুনিয়ার জীবনের জন্য ইবাদতে মশগুল থাকবেন এবং সঠিকভাবে আল্লাহ তাআলার ইবাদতে নিজেদের জীবন জিন্দেগি করতে থাকবেন।
যাতে তারা তাদের করে আসা সকল কাজকর্ম বৃদ্ধাবস্থায় হল নিজেদের কে সঠিকভাবে তৈরি করতে পারেন ।এবং
তওবা করতে থাকেন যাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য খুশি হন আরে তাদের জন্য আল্লাহ তাআলার ভিন্নভাবে হলেও তেমন আচরণ করেন কিছুই বলেননি ইসলামের বিধি-বিধান অনুযায়ী এভাবে আল্লাহ তা’আলা ফরজ করেছেন।
এবং নারীদেরকে করার জন্য বাধ্য করেছেন তাই নারীদেরকে আল্লাহ তায়ালার বিধি-বিধান অনুযায়ী সকল কাজকর্ম সকল পর্দার মাধ্যমে নিজেদের হেফাজতে রাখতে হবে।
পর্দা কখন ফরজ হয়
পর্দা অর্থাৎ হিজাব অর্থ আবৃত করা ঢেকে রাখা অর্থাৎ একটি মেয়ের মমিন সঠিকভাবে পর্দা পালনের জন্য আল্লাহ তাআলা জোরপূর্বক নির্দেশ দিয়েছেন বলেছেন যাতে একটি মেয়ে সে বালেগা হওয়ার সাথে সাথে তার পর্দা ফরজ হয়ে গিয়েছে সে যেন সঠিকভাবে পর্দা পালন করে।
অর্থাৎ একটি মেয়ে বালেগা হওয়ার সাথে সাথে তার উপর পর্দা ফরজ হয় এখানে বালেগা বলতে হায়েজ বুঝানো হয়েছে অর্থাৎ মাসিক এর কথা বলা হয়েছে মেয়ে যখন বালিকা হয়ে যায় তখন তার ওপর পর্দা ফরজ হয়ে যায়।
এবং এরপর তাকে সঠিকভাবে পর্দা পালন করার কথা বলা হয়েছে কেননা একটি মেয়ের বালেগা হওয়ার সাথে সাথে তার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরিবর্তন আসতে থাকে শারীরিকভাবে তার পরিবর্তন আসতে থাকে এবং ধীরে ধীরে সে বড় হতে থাকে এবং তার শরীরের গ্রোথ বাড়তে থাকে ।
পরিবর্তন আসতে থাকে যা বেগানা পুরুষের চোখে আরাল করার কথা আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন একটি মেয়ে যখন বড় হয়ে যায় তখন সে তার একান্ত কিছু আপন মানুষ ছাড়া সকলের সামনে আল্লাহ তাআলা পর্দার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।যা
জোরপূর্বক ভাবে ইসলামে বলা হয়েছে তাই মেয়েদের পর্দা করার জন্য আল্লাহ তা’আলা এতটা গুরুত্ব দিয়ে বলেছে
শেষ কথা
সবশেষে বলা যায় যে আমরা সম্পূর্ণ পোস্টটি থেকে বুঝতে পারলাম বেপর্দা নারী এবং পর্দা করা ফরজ বেপর্দা নারী ভাবে চলা জীবন যাপন করা
শুধুমাত্র জাহান্নামের উপযোগী ছাড়া আর কিছুই নয় দুনিয়ার মাঝে আমরা শুধু উপভোগ করে যেতে পারবো ।
কিন্তু আমাদের এটা মনে রাখা উচিত একদিন আমাদের মহান রাব্বুল আলামিনের সামনে যেতে হবে সকল কিছুর জবাবদিহি করতে হবে।
আল্লাহ তাআলাকে আমাদের কাজকর্ম হিসাব দিতে হবে নিজেদের গুনাহ করার হিসাব করার হিসাব সকল কিছুর হিসাব
নিজেদের ভালো কাজ করার হিসাব সকল কিছুর হিসাব আল্লাহতালার কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তাই আমাদের উচিত নিজেদের সকল কাজকর্ম
আজ থেকেই আমরা করছি বা করেছি আগে তওবা করে নিজেদেরকে এখন থেকে সঠিকভাবে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা।
এবং আল্লাহ তা’আলা বিধি-বিধান আছে এবং হাদিস এবং আছে আল্লাহ জারি করেছেন আরজ করেছেন পালন করার জন্য
যার বিধি-বিধান নিষেধ আদেশ-নিষেধ পালন করার জন্য আল্লাহ তা’আলা কঠোরভাবে জারি করেছেন এবং বারবার করে বলেছেন ।
তা যেন আমরা সঠিকভাবে পালনে নিজেদেরকে সক্ষম করে রাখতে পারি এবং পর্দার ব্যাপারে যেন সর্বদা সজাগ থাকতে পারে নিজেদেরকে বিশেষত নারীরা নিজেদের এমনভাবে পর্দার ভিতর রাখতে পারি যাতে।